Shontaan
" ডাউনলোড বাটন একটু নিচে "
#Shontaan : বাবার চোখে জমে থাকা অশ্রু কি ছেলের মন গলাতে পারবে? সরদিন্দুর একটাই চাওয়া—ছেলের কাছে একটু ভালোবাসা। আদালতে তার হৃদয়ভাঙা আর্তি আপনাকে ভাবাবে।
🔰 Movie : “Shontaan”
🔰 Director : Raj Chakraborty
🔰 Genre : Drama
🔰 IMDB Rate : 7.3/10
credit 🔰..
md khan
❇ গল্প : ছেলে বড় হয়, কিন্তু বাবা-মায়ের কাছে ছোটই থেকে যায়? রাজ চক্রবর্তীর “সন্তান” এমনই একটি হৃদয়গ্রাহী পারিবারিক গল্প, যেখানে বাবা-ছেলের সম্পর্কের জটিলতা ও টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে গল্প গড়ে উঠেছে। সিনেমাটি শুরু হয় সরদিন্দু (মিঠুন চক্রবর্তী) নামের এক বৃদ্ধ বাবার সাথে, যিনি তার একমাত্র ছেলে ইন্দ্রনীলের (ঋত্বিক চক্রবর্তী) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে চান। কারণ, ইন্দ্রনীল তার বাবা-মায়ের প্রতি অবহেলা করছে এবং তাদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে। সরদিন্দু যখন তার গল্প শোনান, তখন দর্শকের সামনে এক সাধারণ কিন্তু হৃদয়বিদারক পারিবারিক জীবনের ছবি উঠে আসে।
গল্পটি একদিকে সরদিন্দুর কঠিন সময়ের কথা বলে, যখন তিনি একসময় ইন্দ্রনীলকে মানুষ করতে নিজের সবকিছু উৎসর্গ করেছিলেন। অন্যদিকে, বর্তমান সময়ে দেখা যায়, ইন্দ্রনীল নিজের স্ত্রী আর জীবনের আরাম-আয়েশে এতটাই ব্যস্ত যে বাবা-মায়ের খোঁজ রাখার প্রয়োজনও অনুভব করে না। আদালতে উকিলদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও গভীর হয়। শুভশ্রী গাঙ্গুলীর সাহসী উকিল চরিত্র এবং খরাজ মুখার্জির ব্যঙ্গাত্মক সংলাপ দৃশ্যগুলোতে প্রাণ সঞ্চার করে।
এছাড়া ছবির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো অনাসুয়া মজুমদারের চরিত্র মালা। সরদিন্দুর স্ত্রী মালা একদিকে ছেলের প্রতি ভালোবাসা আর অন্যদিকে স্বামীর দুঃখের মাঝে আটকে আছেন। মালার মুখে এক ঝলক দুঃখমিশ্রিত অভিব্যক্তি এতটাই শক্তিশালী যে তা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সোহিনী সেনগুপ্তের ছোট একটি চরিত্র রত্না, যা গল্পে একধরনের আবেগের ভারসাম্য যোগ করে।
❇ ব্যক্তিগত মতামত : “সন্তান” সিনেমাটি দেখে আমার মনে হয়েছে, এটি শুধু একটি গল্প নয়; এটি আমাদের চারপাশের বাস্তব জীবনেরই প্রতিফলন। বাবা-ছেলের সম্পর্কের এই গল্পটি এমনভাবে বলা হয়েছে, যা দর্শকদের আবেগের গভীরে ছুঁয়ে যায়। মিঠুন চক্রবর্তী তার অভিনয় দিয়ে পুরো সিনেমায় রাজত্ব করেছেন। তার সংলাপ আর চোখের অভিব্যক্তি চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলেছে।
ঋত্বিক চক্রবর্তীর চরিত্রটি প্রথমে নেতিবাচক মনে হলেও, ধীরে ধীরে তার চিন্তাভাবনাগুলো বোঝা যায়। শুভশ্রী গাঙ্গুলীর সাহসী উকিল চরিত্রটি গল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে আদালতের দৃশ্যগুলো তার দৃঢ় পারফরম্যান্স আর খরাজ মুখার্জির কৌতুকপূর্ণ সংলাপে প্রাণ পেয়েছে।
সিনেমার শেষের দিকটি আমার কাছে খুবই আবেগময় লেগেছে। একটি দৃশ্যে সরদিন্দু যখন বলেন, “ছেলের জন্য সবকিছু করেছি, কিন্তু বিনিময়ে শুধু একটু ভালোবাসা চেয়েছিলাম,” তখন পুরো থিয়েটার চুপ হয়ে গিয়েছিল।
গল্পের কিছু জায়গা ধীর লেগেছে, বিশেষত দ্বিতীয়ার্ধে। কিছু দৃশ্য আর সংলাপ বারবার মনে হয়েছে। তবে আবেগময় মুহূর্ত আর জিত গাঙ্গুলীর চমৎকার সঙ্গীত এই ছোটখাটো ত্রুটিগুলো পুষিয়ে দিয়েছে।
সব শেষে বলে পারি “সন্তান” এমন একটি সিনেমা, যা একবার দেখলে ভোলা কঠিন। এটি শুধু বিনোদন নয়, এটি আমাদের জীবনের সম্পর্ক আর দায়িত্ব নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। বাবা-মায়ের প্রতি আমাদের যত্নশীল হওয়ার যে বার্তাটি সিনেমাটি দিয়েছে, তা বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমাটি দেখতে বসলে আপনাকে কাঁদাবে, ভাবাবে এবং এক গভীর ছাপ রেখে যাবে।
সমালোচক রেটিং ➡️ ৩.৫/৫ ⭐
----------- ☆ ----------- ☆ -----------
সুপার ক্লিন প্রিন্ট আছে✅
মুভি লিংক কমেন্ট অপশনে 🔜
©️ Move Hub 🎬
হ্যাপি ওয়াচিং 💜
_.jpg)